











নর’সিংদীতে পর’কীয়া প্রেম করায় স্ত্রীর হাত কে’টে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন বিষ্ণু সূত্রধর নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় গ্রে’ফতার বিষ্ণু সূত্রধর বুধবার বিকেলে আদা’লতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূ’লক জবানব’ন্দি দিয়েছেন। স্ত্রীর পরকীয়ায় ক্ষি’প্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে স্ত্রী দী’পা চন্দ্র সূত্রধরের (২৭) হাত কে’টে বিচ্ছিন্ন করে দেন স্বা’মী বি’ষ্ণু সূত্রধর।






এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দীপার ছোট ভাই রাজীব চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থা’নায় বিষ্ণু সূত্রধরকে আসামি করে হ’ত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ বিষ্ণু সূত্রধরকে গ্রে’ফতার করে। আহত দীপা চন্দ্র সূত্রধর নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া এলাকার বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য দিলীপ সূত্রধরের মেয়ে। তার স্বামী বিষ্ণু সূত্রধরের বাড়ি কুড়িগ্রামে।






তবে আহ’ত দীপার পরিবারের দাবি, সম্প্রতি দীপার বাবা দিলীপ সূত্রধর বিজিবির সদস্য পদ থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের কিছু টাকা পেয়েছেন। শ্বশুরের সেই টাকার প্রতি লোভ জন্মায় বিষ্ণুর। সম্প্রতি তিনি ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু দীপা এ কথা বাবাকে বলতে অস্বীকৃতি জানান।






সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষ্ণু তার শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়ায় আসেন। রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের সবার সঙ্গে রাত ১টা পর্যন্ত আড্ডা দেন। রাত ৩টার দিকে আকষ্মিক বিষ্ণু চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রী দীপার ডান হাতের বাহু থেকে কে’টে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।






এ সময় দীপা চিৎকার দিলে চাপাতির কো’প মুখের ডান গালে ও বাম হাতে লাগে। এতে গালের মাংসও কে’টে যায়। চিৎকার শুনে বাবা দিলীপ সূত্রধর, মা অরুণা সূত্রধর ও ভাই রাজিব সূত্রধর এসে দীপাকে গু’রুত’র আ’হ’ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।






নরসিংদী সদর মডেল থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান বলেন, বুধবার বিকেলে গ্রেফ’তার বিষ্ণু সূত্রধর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। স্ত্রীর পর’কীয়ায় ক্ষি’প্ত হয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে।





























